আজ || রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  জনবান্ধব ও পেশাদার ওসি’র আরেক নাম, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান       যত দ্রুত নির্বাচন দেবেন, জাতির জন্য তা মঙ্গল,ফেনীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর       বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম বাহরাইনের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       ফেনীতে আনসার-ভিডিপি’র তিন অফিসারের বিদায় সংবর্ধনা       ফেনীতে সোয়া কোটি টাকার স্বর্নের ১০টি বারসহ গ্রেফতার ১       ফেনী ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আইন বিভাগের জয়       ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঁঞার ৩নং পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত       কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ তিনজন আটক       নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্র ইমাম হোসেন নয়ন এর সন্ধান চায় পরিবার    
 


কষ্টিপাথর ও রাজমিস্ত্রী কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জন্য খুন হয় ইয়াছিন-ফেনীর পুলিশ সুপার

ফেনী প্রতিনিধি :

কষ্টিপাথর ও রাজমিস্ত্রী কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ শ্রমিক ইয়াছিনকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতোয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) খালেদ হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এন এম নূরুজ্জামান, পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. শওকত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ইয়াসিনের বড় ভাই হারুন বাদি হয়ে ছয় জনকে আসামি করে রোববার রাতে পরশুরাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সেলিম ছাড়াও এমাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, কুসুম, শাহনাজ ও সিএনজি চালক জামালকে আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, কষ্টিপাথর ও রাজমিস্ত্রী কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলো ইয়াসিনের সাথে সেলিমের। তার জের ধরে সেলিম তার পূর্ব পরিচিত মোশারফ ও কুসুমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ও ইয়াছিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল বিকাল শাহনাজ নামের এক মহিলাকে দিয়ে ইয়াসিনকে সুকৌশলে পরশুরাম থেকে ফেনী শহরের বনানী পাড়ার একটি বাসায় ডেকে আনেন সেলিম। এসময় ৫/৬ জন মিলে ইয়াসিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত পিলার নং-২১৫-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন স্থানে একটি খাদে মাটি চাপা দেয়।

এর আগে জিডির সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সেলিমকে আটক করে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটক সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে রোববার বিকেলে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পিবিআই, সিআইডি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), গোয়েন্দা পুলিশ, পরশুরাম থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ভারতীয় সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন স্থানে যেয়ে খাদ থেকে নির্মাণ শ্রমিক ইয়াসিনের বস্তাবন্দি গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে নির্মাণ শ্রমিক ইয়াসিন নিখোঁজ হলে পরশুরাম থানায় সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই হারুন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তে গত ৮ মে ইয়াসিনে সহকর্মী নির্মাণ শ্রমিক মো. সেলিম ও সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবুল কালামকে মধ্যম রাঙামাটিয়া এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নিহত ইয়াছিন জেলার পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের হাসান আহমেদের ছেলে। গ্রেপ্তার মো. সেলিম (৩৩) একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

 


Top